‘হয় যদি বদনাম হোক আরো/আমি তো এখন আর নই কারো/…’ কিংবা ‘সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারো ঘরনী/জেনে রাখো প্রাসাদেরও বন্দিনী প্রেম কভু মরেনি/…’ অথবা ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন,/ দুজন দুজনার কত যে আপন।/কেউ জানে না…’— এই গানগুলো কোথাও শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে একজন সৌম্য-মধ্যম মাপের হৃষ্টপুষ্ট মানুষের চেহারা। তার চেহারার সঙ্গে নয়; বরং আরও আগে মনে পড়ে যায় চিরসবুজ নামটি! জাফর ইকবাল। আমাদের কালের নায়ক। আশির দশকে যে বয়সে আমাদের মাথায় সিনেমার পোকা ঢুকছে; তখন তিনি দাপুটে নায়ক।
আশিকীঃ একটি কমার্শিয়াল প্যাকেজ
‘আশিকী’ যৌথ প্রযোজনার নাকি যৌথ প্রতারণার, আপাতত সে বিতর্কে যাচ্ছিনা। আর তেলেগু মুভি ‘ইশক’ কিংবা বাপ্পি-মিষ্টি’র ‘লাভ স্টেশন’ও দেখা হয়নি। জাজের ‘আশিকী’তে যা দেখলাম সেটাই কিঞ্চিত আলোচনা করতে চাই। হলভর্তি দর্শকের আনাগোনা। এর আগে অঙ্কুশের ‘রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট’, ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ও দেখেছি। কিন্তু এত দর্শক চোখে পড়েনি। বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে অঙ্কুশ দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। Continue reading
তোর ‘আশিকী’ পাগল করেছে আমায়
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার শো। সপ্তাহের শেষই বলা যায়। মধুমিতা হলে দেখলাম ‘আশিকী’। ডিসিতে দুই-একটা সিট খালি ছিল। কাহিনী লোকজনের জানা তারপরও মজা পাচ্ছিল। একটা জিনিস বুঝি না— টাকা খরচ করে এ সব মামুলি কাহিনীর কপিরাইটস কেনার মানে কী! কলকাতার লোকদের মাথা কি এতই পচে গেছে। তারা এখন তামিলেরটা কিনে খায়। ফলে তাদের লোক বেকার। আর এ বেকার লোকগুলো ঢুকছে যৌথ প্রযোজনায়। তারপর বাংলাদেশের বেকার লোকগুলো…। জটিল চেইন। Continue reading
পরবাসিনী – অন্যরকম কিছু হতে যাচ্ছে!
বাংলাদেশে যখন লালটিপ সিনেমাটা বেড়ল, সহব্লগার দুর্যোধন সিনেমাটা দেখে এসে এক রিভিউ লিখল। সেই রিভিউ এত বিখ্যাত হল যে, মানুষতো বলতেই লাগল, দুর্যোধনের লালটিপ। লালটিপ যে স্বপন আহমেদ বানিয়েছেন এ কথা প্রায় সকলে ভুলে গেল। সিনেমাটা অতটা সুন্দর হয়নি রিভিউটা যতটা সুন্দর হয়েছিল।
উপমহাদেশীয় ফিল্মমেকারদের মধ্যে আশুতোশ গৌরিকরের নাম খুব শোনা যায়। তিনি লাগান, স্বদেশ, যোধা আকবরের মতো বড় ক্যানভাসের সিনেমা বানিয়ে দর্শককে অবাক করে দিতে ভালোবাসেন। কিন্তু এই আশুতোশের প্রথম দুটি ছবি পেহলা নেশা এবং বাজি- বক্স অফিসে প্রচুর হিট হলেও ছবি দুটো খুব অনুন্নত এবং ইংরেজি কাল্ট ফিল্ম থেকে কপি পেষ্ট। Continue reading
আশিকীঃ বিনোদনের পূর্নাঙ্গ প্যাকেজ, কিন্তু…
পেছন থেকে দেখেই ফারিয়াকে পছন্দ হয়ে যায় অংকুশের। ফারিয়া তো আরও ধাপ এডভান্স। অংকুশের ‘বড় মন’ এর প্রমাণ পেয়ে তার শুধু পছন্দই হয় না, দেশে ফোন করে মাকে হবু জামাইয়ের কথা জানানোও হয়ে যায়। দুজনের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয় ট্রেনে, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ স্টাইলে, স্টাডি ট্যুরে যাওয়ার পথে। সেখানে স্বভাবসুলভ দুজনের খুনসুটি দিয়ে শুরু। তারপর নানা মজাদার ঘটনার পরে প্রেম। তারপরই মূল কাহিনীর শুরু। তাদের দুজনের মিল হওয়া অসম্ভব, কারণ অংকুশের সাথে ফারিয়ার ‘দাদা’র পূর্ব শত্রুতা। কি নিয়ে সেই শত্রুতা আর সেই শত্রুতা অংকুশ ফারিয়ার ‘আশিকি‘কে কোথায় নিয়ে যায়, তা নিয়েই কাহিনী ‘আশিকি’র। Continue reading
আশিকিঃ একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ভারতীয় সিনেমা
আমার আসলে এই সিনেমা নিয়ে কোন পর্যালোচনা করার ইচ্ছাই ছিল না। কথায় আছে কুকুরের পেটে ঘি সহ্য হয় না। আমার পেটেও আশিকি সহ্য হয় নাই !!
বন্ধুদের পাল্লায় পরে আশিকি দেখতে গিয়েছিলাম। এবং যাবার পর সবকিছুই খুজে পেলাম, শুধুমাত্র বাংলাদেশকে খুজে পেলাম না। Continue reading
বন্ধুত্বের দুই সিনেমায় জাফর ইকবাল
জাফর ইকবালকে বলা হয় চিরসবুজ নায়ক। সকল ধরনের চরিত্রে মানানসই এ নায়কের মূল শক্তি কিন্তু স্টাইলিশ অভিনয় ও আবেগের যথাযথ ব্যবহার। তাই রোমান্টিক ইমেজটি বরাবরই ছিল। একই সঙ্গে অন্য নায়কদের সঙ্গে সমানতালে অভিনয়ে দক্ষতা ছিল। দর্শক ইমোশন যায় না— এমন চরিত্রে সাধারণত প্রথম সারির নায়করা অভিনয় করেন না। অথচ জাফর ইকবাল চরিত্রের দৃঢ়তা ধরতে পারতেন চমৎকারভাবে। বন্ধু দিবসে তেমন দুটি সিনেমার কথা তোলা যায়। Continue reading
সালমান ও তাঁর পরিচালকদের গল্পঃ চতুর্থ পর্ব
(প্রথম পর্ব) (দ্বিতীয় পর্ব) (তৃতীয় পর্ব) বেশ কয়েকদিন বিরতির পর প্রিয় বন্ধুদের জন্য নিয়ে এলাম স্মৃতির পটে থাকা প্রিয় সালমান ও তাঁর অভিনীত ছবির গল্প অর্থাৎ সালমানের নিয়ে কাজ করা পরিচালকদের গল্প। আজ তুলে ধরবো সালমানের মৌসুমির অভিনীত ও ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সুপারহিট ‘দেনমোহর‘ ছবির কথা।
দেনমোহর
১৯৯৫ সালের রোজার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্য অন্যতম ছবি ছিল শফি বিক্রম্পুরি পরিচালিত ‘দেনমোহর‘ ছবিটি। যে ছবিতে ৩য়বার পর্দায় আগমন ঘটে জনপ্রিয় সালমান – মৌসুমি জুটি। ঈদের ৩য় দিন ছবিটি সিলেটের ‘মনিকা’ সিনেমা হলে দেখতে বন্ধুরা সহ ভিড় জমাই। যথারীতি চির পরিচিত দৃশ্য । সালমান মৌসুমির ছবি দেখতে সব শ্রেণীর দর্শকদের ভিড়। Continue reading
জালাল ডুবে গেলেও শেষ হয় না ‘জালালের গল্প’
বাংলা সিনেমায় পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে বটে। কিন্তু বছরে ২০টা সিনেমা বাছাই করলে তার মধ্যে ১টি কিংবা ২টিকে বলা যাবে ‘ভালো সিনেমা’। এই ভালো সিনেমাগুলোরও আবার নানা রকম আছে। কলকাতার রকম, বলিউডের রকম, তামিল-বলিউড মিশ্রণের রকম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইসব রকমকে বলা হয়, ‘ব্যবসায়ীক চলচ্চিত্র’। Continue reading
দেশজ সিনেমাশিল্পে ভাতৃত্ব ও উদারতার দৈন্যতা!
ওয়ারফেজ নিয়ে ম্যাক ভাই এর কথা গুলো ছিল অনেকটা এরকম –
ওই সময়টাতে অন্যান্য ব্যন্ড হয়তো হাজার এর চাইতে বেশি মানুষের জন্য বাজাচ্ছে কিন্তু ওয়াফেজ এর শ্রোতা ২০/২৫ জনই। যারা খুবই সফিসটেকেড।
লক্ষ্যনীয় ম্যাক ভাই খুবই বঙ্গজ মেলোডিয়াস রক করতেন সেই সাথে ফোক ফিউশন, অপরদিকে ওয়ারফেজ বরাবরই মেটাল তাদের সাউন্ডও পাশ্চাত্যের আদলেই। তবুও মাকসুদ ভাইরা সহ দেশের অন্য কোন ব্যন্ড ওয়াফেজকে স্বাগত জানাতে দ্বিধা করেনি এবং আজকের দিনে ওয়াফেজ আমাদের গর্ব। Continue reading