
একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে অাকর্ষণীয় সময় কোনটি?
– তারুণ্য
একজন মানুষের বৃদ্ধকালে তার সবচেয়ে মিস করা সময় কোনটি?
– তারুণ্য
নজরুলের ‘যৌবনের গান’ প্রবন্ধটি অনেকেরই পড়া অাছে জানি। এ প্রবন্ধে তারুণ্যকে জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি বলা হয়েছে। সুকান্ত যেমন বলেছেন-‘এদেশের বুকে অাঠারো অাসুক নেমে। ‘ভাবছেন অারিফিন শুভকে ‘অাঠারো বছর বয়সী’ ভেবে ফেললাম! অারে না, বলছি প্রসঙ্গ ধরে।তারুণ্যের প্রসঙ্গে। যে তারুণ্যটা নজরুল, সুকান্তরা বলেছিলেন কাব্যে তাঁদের কথার মধ্যে প্রাণশক্তির অাভাস অাছে। ঐ প্রাণশক্তি একটা বড় সময় পরে দেখা গেলে মানুষ নতুন করে অাশাবাদী হয়। সে অাশাটা নতুন কোনো স্বপ্ন দেখায়।স্বপ্নের সে জায়গাটা নানা ক্ষেত্রে হতে পারে। সিনেমার যে বর্তমান ক্ষেত্র অাছে সেখানে অারিফিন শুভ একটা নতুন স্বপ্ন। Continue reading
‘
বাপ্পারাজ ফ্যান পেজে ঢু মারতে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে ‘ঢাকা ৮৬’ সিনেমার পোস্টার পেয়ে গেলাম। ভাবলাম কিছু লিখলে মন্দ হয় না।
কবি জীবনানন্দ দাশের কথাসাহিত্যের সিনেমাকেন্দ্রিক সম্ভাবনার কথা বলব। মনোযোগ দিয়ে বিষয়টি দেখতে হবে।
আগামী ২২ অক্টোবর আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুবার্ষিকী। ‘রবীন্দ্র পরবর্তী আধুনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি তিনি। যত দিন যাচ্ছে জীবনানন্দ তার আবেদন নিয়ে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হচ্ছেন আমাদের কাছে। তাঁর কবিতার প্রভাব নতুন প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়েছে, ছড়াবে অাগামীতেও কারণ ধ্রুপদী গুণ অাছে। সেকালেও ছিল জীবনানন্দের কবিতার পাঠককে গ্রাস করার শক্তি একালে তো আরো প্রবল হচ্ছে।অনেক নামে তাঁর নাম ‘প্রেমের কবি’, ‘রূপসী বাংলার কবি’, ‘মহাপৃথিবীর কবি’ এরকম আরো আছে অনেক। জীবনানন্দের এই আবেদন সিনেমাতেও এসেছে অনেক সময় অনেকভাবে। সেটা ওপার বাংলার সিনেমাতে যেমন এসেছে আমাদের এখানেও এসেছে। সেরকম কয়েকটি কাজ নিয়ে এই লেখাটি লেখার একটা চেষ্টা করছি মাত্র। যদি আপনারা ভিন্নতা পান এতে, তবে আমি ধন্য..
রবীন্দ্রনাথের প্রতি ঋণ স্বীকার করে প্রথমেই নির্মাতা তার দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘অায়না’ বিষয়টা নিয়ে রবিঠাকুরের ছড়াটা এমন –
আমাদের উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক ভাষায় বাপ-দাদাদের বলতে শুনেছি ‘জসিম হামার নায়ক’..‘হামার’ মানে ‘আমাদের’..বাপ-দাদারা বুক চিতিয়ে বলত ‘জসিম হামার নায়ক’..তাদের সময়ের শাসন করা নায়ক জসিম যার চোখের দৃষ্টিতে আর গলার আওয়াজে হলের পর্দা কাঁপত…
সিনেমা শুরুর অাগের ঘটনা দিয়ে শুরু করি শেষ করব সিনেমা দেখা শেষের ঘটনা। জাতীয় সঙ্গীত বাজছে। পেছন থেকে বাঁজখাই আওয়াজ এল-‘আরে ভাই বসেন না ক্যান, দেখতে পাই না’। খানিকক্ষণের জন্য মুখদর্শন করলাম ভদ্রলোকের। দেখি অামার মতো দাঁড়ানো অনেকেই তার মুখদর্শন করছে। 
যৌথ প্রযোজনার সিনেমা দেখতে বসলে এখন চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়। ঝকঝকে তকতকে নির্মাণের সিনেমা দেখব এই ভেবে।দর্শকও অার অাগের মতো নেই।ভালো লাগতেই হবে নয়তো গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়বে। কষ্টটা শেষ পর্যন্ত টাকার। যৌথ প্রযোজনার ঈদুল অাযহা-২০১৬–র সিনেমা ‘রক্ত’ কৌশলগত কারণে অাধুনিক হয়েও শেষ পর্যন্ত পেছানো সিনেমা। প্রতিশোধের গল্পে গতানুগতিক স্টেরিওটাইপে পড়া অথচ অাধুনিক সিনেমার ব্যানারটি গায়ে জড়িয়েও সম্পূর্ণ তৃপ্তি দেয় না।