এই যে গৌতম ঘোষ শঙ্খচিল নামের একটা সিনেমা বানাল এবং সেখানে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার সেন্টিমেন্ট তৈরী করল এবং দেখা গেল দেশের অধিকাংশই বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি।
একটা সময় ছিল আমরা গৌতম ঘোষকে সম্মান করতাম। তার সিনেমা মেকিঙয়ের প্রশংসা আমি এখনও করি। কিন্তু শঙ্খচিল নির্মান এই গুনি ব্যক্তিটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেলেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে মারা খেয়ে গেল।
ছুডো একটা পোর্টাল থেকে শুরু করে জাতীয় দৈনিক ঘোষকে নিয়ম করে ছয় ইঞ্চি আট ইঞ্চি করে ভরতেছে। আমার ফ্রেন্ডলিষ্ট এত ব্রড এত ওয়াইড অথচ একটাও পজেটিভ রিভিউ আমি পেলাম না। গালাগালি আর নেগেটিভ রিভিউয়ের ছড়াছড়ি। Continue reading
সিনেমা নিয়ে পড়াশুনা করতে গেলে সব থেকে যে বিষয়টা বেশী আসে তা হল সাবজেক্ট। সিনেমার বিষয়বস্তুকে প্রাধন্য দেবার জন্য প্রচুর চাপ দেয়া হয়। অধিকাংশ বই ইংরেজি, ফলে বিভিন্ন দেশের সিনেমার বিষয়বস্তুতেও থাকে মার্কিন, ইংরেজ প্রভাব। যেরকম সুপার হিরো মুভি, মার-মার কাট কাট একশান, তেলুগু স্টাইল, বলিউড কপি পেষ্ট এবং মূল ধারার ইরানি চলচ্চিত্র। ইরানে সম্রাট আওরঙ্গজেব জন্মায় নি এবং কখন যাই নি। যার ফলে ইরানের ইসলামী মনোভাব আর এ উপমহাদেশের ইসলামী মনোভাব এক নয়। এককথায় বলা যায়, সম্রাট আওরঙ্গজেব ইসলামকে তার মতন করে সাজিয়েছেন এবং বর্তমান বাংলাদেশে যে ইসলাম পালন হয় তার শুরু ঐসময়েই। কোন ইসলামী বা আসমানী কিতাবে লেখা আছে বিয়েতে গায়ে হলুদ দিতে হবে? নেই কোথাও। অন্য কোথাও দেয়না। এটা বাংলার নিজস্ব কালচার। এরকম প্রায় সব বিষয়ে আছে আমাদের মৌলিকত্ব। সেগুলো যারা ধরতে না পারে, আর তারাই যদি সিনেমা বানায় তাহলে যা হয়, তাই হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে দেশের প্রতি দুর্নাম, ভুল ধারনা প্লাস একের পর এক হল উঠে যাওয়া- আরও জানতে চান ? 


“চলচ্চিত্র দ্বারা কখনো সমাজ পরিবর্তন করা যায় না।” – সত্যজিত রায়