বেশ খানিক বিরতির পরে দেশীয় সিনেমা দেখলাম। এই মুসাফির নিয়ে প্রচন্ড আশাবাদী ছিলাম। কেন? কারণ ট্রেইলার দেখার পর থেকেই একটা কেমন যেন ভাবনা কাজ করতো। এই সিনেমাটা বোধহয় অন্য রকম হবে! তাছাড়া আশিকুর রহমান সিনেমাটা রিলিজে দেরি করেছেন। কবে আসবে কবে আসবে একটা ভাব ছিলো। দেখার ইচ্ছে ছিলো প্রথম দিনেই কিন্তু ব্যস্ততা থাকায় পারিনি। দ্বিতীয় দিনে দেখলাম। হাইপড থাকার কারণে একটা হালকা অস্থিরতা ছিলো কিন্তু হলে ঢোকার আগে সেই হাইপড ভাবটা কাটিয়ে নিলাম নিজ থেকেই। কারণ আগে কিছু সিনেমা নিয়েও এমন আশাবাদী ভাব চলে এসেছিলো কিন্তু পরে মার খেয়েছি হলে বসে পুরা রানটাইম ধরেই। নিজেকে তৈরি করে নিয়েছিলাম যে হয়তো অতটা ভালো নাও হতে পারে। কিন্তু আশংকা সত্য হয়নি। ভালো লেগেছে। আতশ কাঁচ নিয়ে দেখতে যাবার ইচ্ছে থাকলে যেতে মানা করবো আমি। তবে কয়েক জায়গায় কিছু ভুল আছে যেগুলো চোখে লাগবে। ওসব বাদে চমৎকার একটা বাংলা সিনেমা এই মুসাফির। না গুণগান করতে বসিনি। যা দেখে এসেছি তাই বলবো। জাস্ট পড়ে যান। Continue reading
লিখেছেনঃ রিপন মাহমুদ
সিনেমা দেখতে ভালোবাসি। দেখাতে ভালোবাসি। দেশীয় সিনেমা দিন দিন আরো ভালো করুক এর জন্যই মাঝেসাঝে কীবোর্ডে আঙুল চালাই। দেশীয় বাংলা চলচ্চিত্রে ভালোলাগা মন্দলাগার কথা জানাই। অন্ধ-প্রেম থেকে নয়, বরঞ্চ একটা সিনেমায় আমার চোখে ধরা পড়া যেকোন কিছু পজিটিভ হোক নেগেটিভ হোক তুলে ধরবো।
শেকড়ে টেনে নেয় স্বপ্নডানায়
সবসময় ইট-কাঠের খাঁচায় থাকতে থাকতে মনটা কেমন হাঁপিয়ে ওঠে। মনে হয় যদি সেই গ্রামটাকে আবার একটু ফিরে পেতাম হয়তো বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারতাম। হয়তো কৃত্রিম এই সবকিছু ছেড়ে মাটির সোঁদা গন্ধে নিখাঁদ জীবনযাত্রায় শামিল হতে পারতাম। চাইলেইতো আর সব কিছু পাওয়া যায়না তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে মানা নেই। সেই চিরচেনা প্রশান্তিময় গ্রামীণ জীবনের ছোঁয়া পেতে ফের দেখলাম “স্বপ্নডানায় (On The Wings Of Dream)”। Continue reading
অনেস্ট রিভিউঃ অগ্নি ২ – দ্য পেইন
যৌথ প্রযোজনা। আহা! কত মধুর লাগে শুনতে! এক গাঞ্জার কলকিতে দুইজনা দুধার থেকে টানছে দেখতেই কত ভালো লাগে! আসল কথা হল কলকাতার সিনেমা তার বাজার হারাচ্ছে দক্ষিণী আর হিন্দি সিনেমার হাতে। দেব জিতের ভুগিচুগি সিনেমা আর তেমন চলেনা মনে হয় ঐখানে। তাই এবার উনারা নজর দিয়েছেন বাংলাদেশের বাজার দখল করতে। ইচ্ছে করছেনা কিছু লিখতে কারণ একটা রিভিউ লিখতে অনেক প্যারা। তারপরেও সেটা যদি আবার নেগেটিভ রিভিউ হয় তবে আরো ইচ্ছে করেনা। তবু লিখছি। কারণ হল ইফতেখার চৌ নামে এক মোটা বুদ্ধির পরিচালকের কাছে বারবার মারা খাচ্ছি আমরা। যাক বাদ দেই। কিছু রিলেটিভ কথাবার্তায় আসি। Continue reading
ভাত দেঃ মৌলিক চাহিদার এসিডে ঝলসানো সেলুলয়েড
আমাদের ঢাকাই চলচ্চিত্রের গৌরবময় দিনগুলোর সময়ে পরিচালকরা বিভিন্ন প্লট নিয়ে পরীক্ষা চালাতেন। ক্যামেরার পেছনে সেই প্লটগুলোর পার্থক্য ধরা পড়ত মারদাংগা ভালবাসার সিনেমা থেকে আলাদা করে। ঝুঁকি নিতে ভালবাসতেন তখনকার প্রযোজক ও পরিচালক উভয়েই। ফলশ্রুতিতে বাণিজ্যিক ধারার সিনেমার পাশাপাশি বেশ কিছু কোয়ালিটি সিনেমাও পেত বাংলার দর্শকরা। চিন্তা করতে জানতেন তখনকার চলচ্চিত্রের মাস্কেটিয়াররা। তা না হলে দেখুনতো, বাংলার মাটির বুকে সর্পিল গতিতে ঘুরে বেড়ানো দারিদ্র্যের আরেক ছদ্মবেশ “ক্ষুধা” ও তার নেপথ্যের পার্শপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আমজাদ হোসেনের মাস্টারপিস “ভাত দে” এতটা ভাবাবে কেন? Continue reading
ছুঁয়ে দিলে মনঃ সফল বাণিজ্যিক রোমান্টিক সিনেমা
বহুদিন পর কোন বাংলা সিনেমা দেখে হল থেকে কোনরকম বিরক্তি ক্ষোভ ছাড়াই বেরোলাম। ভালো লেগেছে। আরেকবার দেখার ইচ্ছে আছে। অনেকেই দেখেছেন এবং অনেকেই দেখার প্ল্যান করছেন। আবার কেউ কেউ সস্তা বাংলা সিনেমা ভেবে এড়িয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃতীয়পক্ষকে যা বলার আছে তাহলো – বাংলা সিনেমার এগিয়ে যাওয়াটা মিস করছেন আপনারা। খুব ভালো সিনেমা হবে একদিন আমাদের দেশে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এমন সিনেমা তৈরি হল কীভাবে বাংলা সিনেমা এমন করে পাল্টে গেলো তা ভেবে সেদিন পেছনে ফিরে তাকাতে চাইবেন। Continue reading
জাগো: খেলার সাথে জড়িয়ে থাকা দেশপ্রেম আর আবেগের চলচ্চিত্র
মনে আছে বন্ধুরা যখন হলে মুভিটা দেখতে যায় আমি যেতে পারিনি। মন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পরে হলে আর দেখা হয়নি। আজ সেই অপূর্ণতা ঘুচল। দেখে ফেললাম জাগো। ভাল লেগেছে। বছর বছর ধরে চলে আসা চিরচেনা সংলাপ, পারিবারিক দন্দ্ব আর প্রেম বিরহের জ্বালায় জ্বলন্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবির বাইরে যে মুভিগুলোই পাই দেখতে ছুটে যাই আমাদের শত সমস্যায় জর্জরিত প্রেক্ষাগৃহগুলোতে। দীপু নাম্বার টু, এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী, মাটির ময়না, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, হাজার বছর ধরে, লাল সবুজ, মনপুরা, আমার বন্ধু রাশেদ, জয়যাত্রা, গহীনে শব্দ, স্বপ্নডানায়, মেঘের পরে মেঘ, শ্বশুর বাড়ি জিন্দাবাদ, হঠাৎ বৃষ্টির মতো আরো অনেক চলচ্চিত্র যে গুলো আমাদের চিরাচরিত স্বাদের বাইরে ভিন্নতার আমেজ এনে দেয় ‘জাগো‘ তেমনি এক সেলুলয়েড। প্রেমসর্বস্ব বাণিজ্যিক চলচিত্রের বিপক্ষে নই আমি। এফডিসির ফুলবাগানের, কলেজ সিঁড়ির ধ্রুবক টাইপ ছায়াছবির বাইরেও অনেক বিষয় নিয়ে মুভি বানানো যায়, চিরচেনা কুশীলবের বাইরেও কাস্ট করা যায় এবং সেটাতেও রোমান্সের ছোঁয়া থাকে এই মুভিগুলো দেখলে সেটা হঠাৎ করেই বোঝা যায়। Continue reading
হরিজনঃ অবহেলিত একদল মানুষের গল্প
অনেক সাধের ময়না দেখার একদিন পর ময়মনসিংহ সেনা অডিটরিয়ামে দেখলাম হরিজন। “সরকারি অনুদান প্রাপ্ত সিনেমা” ট্যাগ লাগানো এই সিনেমার গায়ে। খুবই আলাদা একটা সাবজেক্ট নিয়ে সিনেমা করেছেন পরিচালক মির্জা সাখাওয়াত হোসেন। সিনেমা কেমন লাগল সেটায় আসছি। আগে একটু বলে নিই “হরিজন” বলতে আসলে আমরা কি বুঝি। Continue reading