যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র দেখা মিস করবেন না (চতুর্থ পর্ব) – “কিত্তনখোলা” ও “অপেক্ষা”

কিত্তনখোলা(২০০০)

16_103

আগের পর্বেই বলেছিলাম আবু সাইয়ীদ হচ্ছেন বাংলাদেশের এমন একজন পরিচালক – যিনি গতানুগতিক কাহিনীর বাইরে ভিন্নধারার কাহিনী নিয়ে সিনেমা বানিয়েই গেছেন – আলোকপাত হয়েছে তাঁর উপরে অনেক কমই। তাঁর বানানো চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরীক্ষামূলক চলচ্চিত্রটি হচ্ছে “কিত্তনখোলা”। নাট্যকার সেলিম আল দীনের মঞ্চনাটক অবলম্বনে বানানো এই চলচ্চিত্রটির জন্যে জাতীয় ভাবে তিনি যথাযথ সমাদৃত হয়েছিলেন – শ্রেষ্ট চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্রকার, চিত্রনাট্যকারসহ মোট ৯টি বিভাগে পুরষ্কৃত হয়েছে এটি। Continue reading

যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র দেখা মিস করবেন না (৩য় পর্ব) – “নিরন্তর”

কাহিনী নেই, কাহিনী নেই বলে একটা হাহাকার লক্ষ্য করা যায় অনেক দর্শকের মধ্যে। পরিচালক আবু সাইয়ীদ যেনো দর্শকের সেই হাহাকারটা বুঝতে পারেন, তাই একের পর এক বানিয়ে চলেছেন ভিন্ন স্বাদের কিছু চলচ্চিত্র। তবুও, আমার মতে, দর্শকের অবহেলার শিকারই হয়েছেন তিনি – খুব বেশি ব্যবসাসাফল্য পায়নি তাঁর বেশিরভাগ চলচ্চিত্র। নামেমাত্র লভ্যংশই তুলতে পেরেছে তার মুভিগুলো। তবে একটা পরিতৃপ্তি হয়তো খুঁজে পেতে পারেন পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার আবু সাইয়ীদ – তাঁর বেশ কিছু মুভিই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জিতে নিয়েছিলো সমালোচক পুরষ্কার। তাঁর পরিচালিত অসাধারণ প্রিয় মুভি “নিরন্তর” নিয়ে আলোচনা করবো এই পর্বে। Continue reading

যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র দেখা মিস করবেন না (দ্বিতীয় পর্ব) – শাকিব আর পূর্ণিমার “সুভা”।

200px-Shuva_film

সুভা – রবীন্দ্রনাথের এক চিরঞ্জীব গল্প “সুভাষিনী”র কেন্দ্রীয় চরিত্র। এর আগেও বাংলাদেশে এই গল্প নিয়ে নাটক হয়েছিলো ২ বার – প্রথমবার সুবর্ণা মুস্তাফা আর পরেরবার ঐন্দ্রিলা আহমেদ ছিলেন সুভা চরিত্রে। আর ২০০৬ সালে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী চাষী নজরুল ইসলাম এই গল্পটিকে তাঁর সিনেমার ফ্রেমে তুলে ধরেন।

অশ্লীলতার যে যুগটা – মোটামুটি ১৯৯৯ থেকে ২০০৬, এই সময়কালটাতে হলবিমুখতার কারণে অনেক চলচ্চিত্রই দর্শকের অবহেলার শিকার হয়েছিলো – অথচ সে চলচ্চিত্রগুলো সর্বকালের সেরা বাংলা চলচ্চিত্রগুলোর শর্টলিস্টে জায়গা পাওয়ার মত যোগ্যতা রাখে। অশ্লীলতা, বৈচিত্র্যহীন কাহিনী, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীদের অপেশাদারিতা – এসব অভিযোগ দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে অবমূল্যায়ণ করেন অনেক আধুনিক ও নতুনপ্রজন্মের দর্শকেরাও। বাংলা চলচ্চিত্রকে মূল্যায়ন করতে গেলে যে কয়টি মুভি দেখা অত্যাবশ্যক তার মধ্যে “সুভা” প্রথমদিকেই থাকবে। এই পর্বে আমি কয়েকটি মাত্রা দিয়ে আলোচনা করবো কেন এই মুভিটি বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পের জন্যে একটা মাইলফলক এবং দর্শকের জন্যে অবশ্যদ্রষ্টব্য। Continue reading

যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র দেখা মিস করবেন না (প্রথম পর্ব) : রিয়াজ অভিনীত ৩ টি চলচ্চিত্র

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক, সংক্ষেপে রিয়াজ। ১৯৯৬ সালে সালমান শাহের মৃত্যুর মাত্র একবছর আগে ঢাকাই চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক, যদিও প্রথম ২ বছর সালমানের দাপটে অনেকটা আড়ালেই ছিলো তাঁর প্রতিভা। কিন্তু সালমানের মৃত্যুর পর যে অল্প কয়জন নায়ক বাংলা মুভির ধ্বস ঠেকিয়ে ধরেছিলেন – সে কৃতিত্বের অনেকটারই দাবিদার রিয়াজ। যখন অশ্লীলতার জোয়ারে ঢাকাই চলচ্চিত্র সুধী দর্শকদেরকে হল তথা চলচ্চিত্রবিমুখী করতে থাকে- তখন অনেকটা আড়ালেই তিনি এমন কিছু চলচ্চিত্রে নিজের অভিনয়ের প্রতিভা মেলে ধরেন যেগুলো শুধুমাত্র সে সময়কাল নয় – সর্বকালের সেরা বাংলা মুভিগুলোর কাতারে দাঁড়াবে আমার বিশ্বাস। Continue reading