ভালোবাসা আজকাল ()

৭.৬
আপনার রেটিঙঃ
- / ১০ X
রেটিঙঃ ৭.৬/১০, ভোট দিয়েছেন ৩২ জন | সমালোচক রেটিঙঃ
দর্শক মন্তব্যঃ ১২ টি |সমালোচক মন্তব্যঃ ১ টি

কাহিনী সংক্ষেপ

মামা-ভাগ্নে দুজনে মিলে নানা উপায়ে লোক ঠকিয়ে টাকা উপার্জন করে। একবারে অনেক বেশী টাকা উপার্জন করার উদ্দেশ্যে ধনীর দুলালী বিদেশ ফেরত সুমীকে বিয়ের উদ্যোগ নেয় দুজন। কিন্তু নিজের পরিচয় গোপন করে সুমী পরিচয়ে মামা-ভাগ্নের সাথে পরিবারে ঢুকে পড়ে বিদেশে বড় হওয়া এবং বাবাকে ফাঁকি দিয়ে দেশে আসা ডানা। ডানাকে উদ্ধারের জন্য পুরস্কার ঘোষনা করে ডানার বাবা।

প্রধান অভিনেতা - অভিনেত্রী

শাকিব খানরানা
মাহিয়া মাহিডানা
কাবিলামামা
মিশা সওদাগরপুলিশ অফিসার
আলীরাজহায়দার
সকল কলাকুশলী

ছবি এবং ভিডিও

গান

গানগীতিকারসুরকারশিল্পীপর্দার শিল্পী
স্বপ্ন দেখি আমি স্বপ্ন - - দিলশাদ নাহার কনা মাহিয়া মাহি
মামু ভাইগ্না গুড লাক - - কিশোর দাস শাকিব খান, কাবিলা
এই প্রথম একটি মুখ - - কিশোর দাস, ন্যান্সি শাকিব খান, মাহিয়া মাহি
ভালোবাসা আজকাল - - রুপম, দিলশাদ নাহার কনা শাকিব খান, মাহিয়া মাহি
শুনতে কি পাও তুমি - - রুপম শাকিব খান

প্রধান কলাকুশলী

কাহিনী জাজ
চিত্রনাট্য পি এ কাজল
সংলাপ আবদুল্লাহ জহির বাবু
সঙ্গীত পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদির, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, শফিক তুহিন, ইমন সাহা
সুরকার -
গীতিকার -
সকল কলাকুশলী

অন্যান্য তথ্যাবলী

মুক্তির তারিখ৯ আগস্ট, ২০১৩
ফরম্যাট ডিজিটাল
রং রঙিন
দৈর্ঘ্য (রান টাইম)১৪২ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
শ্যুটিং লোকেশনসিলেট এবং বান্দরবনের নীলগিরি, নীলচিল, মেঘলাসহ বিভিন্ন লোকেশনে

ট্রিভিয়া

  • শ্যুটিং শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তারিখে।
  • ভালোবাসা আজকাল শাকিব খান এবং জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র
সব ট্রিভিয়া দেখুন →

১২টি রিভিউ

  1. ******* This may contain some SPOILER **********

    ভালোবাসা আজকাল ছবিটা পুরোপুরি দেখতে পারি নি । বিরতির কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত দেখেছি । কিছু দিক থেকে ছবিটা আর দশটা বাণিজ্যিক বাংলা ছবির থেকে ভালো ।

    প্রথমত, সিনেমার সেন্স অফ হিউমারটা সাধারণমানের । হ্যা, এটা অবশ্যই পজিটিভ দিক । আমার দেখা অধিকাংশ বাণিজ্যিক ছবিরই সেন্স অফ হিউমার অতিরিক্ত সস্তা হয়ে থাকে ।

    দ্বিতীয়ত, সংলাপগুলো ভালো । ক্যারেক্টারগুলোকে বেশ ভালোভাবে ব্যবহার করার একটা চেষ্টা চোখে পড়েছে । অধিকাংশ সিনেমাতেই অপ্রয়োজনীয় চরিত্রের আধিক্য চোখে পড়ে ।

    তৃতীয়ত, সিনেমার প্রিন্ট ভালো । সম্ভবত রেড ক্যামেরায় চিত্রায়িত । ক্যামেরার কাজ দৃষ্টিকটু না । পাস করে যাওয়ার মত ।

    এর বাইরে অভিনয়ে কোন চোখে পড়ার মত উন্নতি নাই । সবাই তাদের অতিনাটকীয় ভাব বজায় রেখেছেন । নায়িকার অভিনয় দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ । তবে তার চপলতা(!) অভিনয়ের ব্যর্থতাকে কিছুটা হলেও ঢেকে রেখেছে ।

    স্পেশাল ইফেক্টে পিরামিড থেকে শুরু করে স্টোন হেঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে গানের ব্যকগ্রাউন্ডে । খারাপ বলব না । তবে বোঝা যাচ্ছিলো যে জিনিসে ভেজাল আছে ।

    সবসময়ের মতই ইংরেজী ভাষার পুটকি মেরে দেওয়া হয়েছে । শেক্সপিয়ার বেঁচে থাকলে সুইসাইড করতেন ।

    লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট, বাংলাদেশকে ছবিতে কিছুটা পজিটিভলি দেখানো হয়েছে । বেশ অনেকটুকু অংশ মনে হল বান্দরবনে চিত্রায়িত । অনন্ত জলিলের মত ব্যাংকক, মালয়েশিয়ার বৃত্ত থেকে বেরিয়েও যে সুন্দর দৃশ্যায়ন সম্ভব আরেকবার প্রমাণিত হল ।

    এইটা পি এ কাজলের সিনেমা , স্ট্যানলি কুব্রিকের না । এই সহজ তথ্যটা মাথায় থাকলে পয়সা উসুল করে হল থেকে বের হয়ে আসা যাবে মনে হয় ।

  2. সমালোচনা করলে আসলে বেশ কিছু জাইগায় করা যায়… স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাওয়া যে খাটিয়া তে লাস নাই, ক্যামেরা এদিক অদিক করতে করতেই সেম সিনের মধ্যে রাত দিনের ফারাক, গানের সময়ের এফ এক্সের কিছু দুর্বলতা আর এই ব্যাপারে তেমন এলার্জি না থাকলেও বলবো অপ্রয়জনীয় ভাবে পুরা মুভিতেই নায়িকাকে প্রয়োজনের থেকেও কম কাপড় চোপড় পরানো সহ আরো অনেক ব্লা ব্লা ব্লা…!

    হিন্দি সংস্করণটা আমার দেখা হয় নি কিন্তু তবুও সব কিছু মিলিয়ে বলতে গেলে মুভিটা দেখে বেশ ভালো লেগেছে। গ্রামের বাড়ি থেকে যশোর যেয়ে ৩ গুন টাকা বেশি দিয়ে টিকিট কিনে মনিহার সিনেমহলের সিড়িতে বসে মুভি দেখা সার্থক! আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে সিড়ীর একটা ধাপও ফাকা ছিল না সেদিন।

    সাকিব খানের অভিনয় অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। আসলেই প্রসংসার দাবিদার! হ্যাটস অফ!

    মুভি অনেক বেশি হাস্যরস সম্রিদ্ধ ছিল সেই দিক থেকে অনেক বেশি সার্থক মুভিটা! মুভি প্রিন্টার প্রসংসা না করে আসলে উপায় নেই, এক্কেবারে চক চক করছিল!

    শুটিং স্পট গুলো অসাধারন ছিল! বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরতে পুরো পুরি সার্থক হয়েছে। মনে হচ্ছিল আমি সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখছি। অনেক শ্রদ্ধা রইলো ছবির কলা কুশলির উপর।

    আমার মনে হয়েছে অপ্রয়জনিয় কিছু নাচগানের জন্য্য মুভি কিছু দুরব্লতার সৃষ্টি হয়েছে। মিসর কিংবা বিদেশের কিছু সিন অপ্রয়জণীয় এবং আরটীফিসিয়াল ভাবে বিদেশী “ফিল” দেবার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সেইগুলো আসলেই আরটীফিসিয়ালই লেগেছে।

    আমি বলবো নায়িকার কিছু ব্যাপার আসলেই চোখে লেগেছে। বেশি অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে মনে হয়েছে! এই ব্যাপারে তেমন এলার্জি আমার নেই তবুও মনে হয়েছে অপ্রয়জনীয় ভাবে পুরা মুভিতেই নায়িকাকে প্রয়োজনের থেকে একটু কম কাপড় চোপড় পরানো হয়েছে তবে আমার মনে হয়েছে মুভির শেষ দিকে এসে একটু ড্রেস চয়েসে চেঞ্জ করা উচিৎ ছিল।

    সব মিলিয়ে অনেক সাধুবাদ! আর যাই হোক আমি আজ থেকে আবার বাংলা মুভি নিয়ে আবার আশাবাদী!

সব রিভিউ দেখুন

রিভিউ লিখুন

আরও ছবি