কাহিনী সংক্ষেপ
শমশের ডাকাত তার দলবল নিয়ে একজন যাত্রীকে আক্রমন করে তার সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। ডেরায় যাওয়ার পথে তারা জঙ্গলের মধ্যে থেকে একটি বাচ্চা ছেলেকে উদ্ধার করে, যাকে তার বাবা মরে গেছে ভেবে চাকর দিয়ে কবর দিতে পাঠায়। বেশ কয়েক বছর পর পাকিস্তান সরকার শমশের ডাকাতকে ধরার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করে। কিন্তু ছদ্মবেশে থেকে ও থানার দারোগা জালালকে ঘুষ দিয়ে সে পালিয়ে থাকতে সমর্থ হয়। তার দলের আফজাল আর কুলসুম একে অপরকে পছন্দ করে এবং সুযোগ বুঝে পালানোর চিন্তা করতে থাকে। ইতিমধ্যে, শমশের জালালের বোন রাশিদাকে তার বাবার সাথে গ্রামে যাওয়ার পথে অপহরন করে তার ডেরায় এনে তুলে।
কৃতজ্ঞতা: ওয়াকিম
“মুখ ও মুখোশ” আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) প্রথম বাংলা ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র। কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল জব্বার খান এবং অভিনয়ও করেছেন এতে।
ছায়াছবিটির শুরুতে দেখানো হয় শমশের ডাকাত তার দলবল নিয়ে একজন যাত্রীকে আক্রমন করে তার সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। ডেরায় যাওয়ার পথে তারা জঙ্গলের মধ্যে থেকে একটি বাচ্চা ছেলেকে উদ্ধার করে, যাকে তার বাবা মরে গেছে ভেবে চাকর দিয়ে কবর দিতে পাঠায়।
বেশ কয়েক বছর পর পাকিস্তান সরকার শমশের ডাকাতকে ধরার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করে। কিন্তু ছদ্মবেশে থেকে ও থানার দারোগা জালালকে ঘুষ দিয়ে সে পালিয়ে থাকতে সমর্থ হয়। তার দলের আফজাল আর কুলসুম একে অপরকে পছন্দ করে এবং সুযোগ বুঝে পালানোর চিন্তা করতে থাকে। ইতিমধ্যে, শমশের জালালের বোন রাশিদাকে তার বাবার সাথে গ্রামে যাওয়ার পথে অপহরন করে তার ডেরায় এনে তুলে। রাশিদা, আফজাল আর কুলসুমের পালিয়ে যাওয়া, শমশেরের মৃত্যু, আর জালালের শাস্তি এই নিয়ে শেষ হয় ছায়াছবিটি।
শমশের ডাকাত চরিত্রে ইনাম আহমেদ যতাযত অভিনয়ই করেছেন, তাছাড়া বাকিদের প্রায় সকলের প্রথম ছায়াছবি হলেও, অভিনয়েও তেমন একটা খুঁত ধরা পড়েনি। মাহবুবা রহমানের (খান আতার স্ত্রী) কণ্ঠে “মনের বনে দোলা লাগে” গানটি শ্রুতিমধুর লেগেছে। এছাড়াও এ ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল গায়ক আব্দুল আলীম।
সব মিলিয়ে পারিবারিক কলহ, দুর্নীতি, অসামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে চিত্রায়িত ছায়াছবিটি সবার ভাল লাগবে বলে আশা করছি।