Select Page

‘রানা প্লাজা’ নেই, নতুন সিনেমা নেই

‘রানা প্লাজা’ নেই, নতুন সিনেমা নেই

Rana-Plaza-3

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মুক্তির আয়োজন করেছিল রানা প্লাজা। ৮০টি হল বুকিং পেয়েছিল। কিন্তু চেম্বার জজের আদালতে আটকে গেল আলোচিত সিনেমাটি। তাই শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) কোনো সিনেমা মুক্তি পেল না।

প্রথমবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২৪ আগস্ট মুক্তি পাবে রানা প্লাজা। কিন্তু প্রদর্শনে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেয় সেন্সর। তারপর সেন্সরের শর্ত মেনে ছাড়পত্র পায় সিনেমাটি। সিদ্ধান্ত হয় ৪ সেপ্টেম্বর মুক্তি দেয়া হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে সে বার পিছিয়ে যায়। এর পর আপিল বিভাগের রায় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়, ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু এবারও আটকে গেল ‘রানা প্লাজা’।

১০ সেপ্টেম্বর রানা প্লাজার প্রদর্শনী ও সম্প্রচারের ওপর ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আদেশ দিয়েছেন।

প্রদর্শনের উপর এমন বাধায় দর্শকদের পাশাপাশি বিরক্ত হয়ে গেছে ছবির কলাকুশলীরাও।

মুক্তির ঠিক আগেই আদালতের এমন সিদ্ধান্তকে পরী মনি বলছেন, “স্রেফ ইয়ার্কি”। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “কি লিখবো বুঝতে পারছি না। আমি জানি আমার থেকেও দর্শকের বেশি আগ্রহ ছিলো রানা প্লাজা দেখার। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে আমি জানলাম, আমার ছবি আবারও আটকানো হয়েছে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। দেখা যাক কি হয়!”

সিনেমাটির নায়ক সাইমন সাদিক গ্লিটজকে বলেন, “কষ্ট তো হবেই। আদালতের নির্দেশ, আমার কিছু বলার নাই।”

সিনেমাটির পরিচালক নজরুল ইসলাম খানের প্রশ্ন, “আমার সঙ্গেই এমনটা কেন হচ্ছে?”

তিনি আরো বলেন, “আমার আর পথে বসার বাকি থাকলো না। তবে আমি আইনি পথেই লড়াই করবো। আইনের প্রতি আমার আস্থা আছে। তারা নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন।”

নজরুল জানান, রানা প্লাজা সিনেমাটি শুক্রবার ৮০টি হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা নামে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। এই ঘটনার ১৭ দিন পর ১০ মে ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নির্মাতা নজরুল ইসলাম খান তৈরি করেন চলচ্চিত্রটি।

সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে রেশমাকে ভালোবাসে তার প্রতিবেশী টিটু। কিন্তু টিটু তাদের চেয়ে অবস্থাপন্ন বলে তার প্রস্তাবে সায় দেয় না রেশমা। টিটুও হাল ছাড়ার পাত্র নয়। এক দুর্ঘটনা থেকে টিটু রেশমাকে উদ্ধার করে।

এরপর টিটুকে পছন্দ করতে শুরু করেন রেশমা। সায় দেন তার প্রেমে। এর কিছুদিন পর বিয়ে করে টিটু ও রেশমা। তারা ঢাকায় চলে আসে। তখন এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে টিটু। পরিবারের দায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়ে রেশমা যোগ দেয় এক গার্মেন্টসে। এ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। একপর্যায়ে ঘটে রানা প্লাজার দুর্ঘটনা।

সাইমন-পরী মনি ছাড়াও এতে অভিনয় করেন আবুল হায়াত, সাদেক বাচ্চু, কাবিলা, রেহানা জলি, শিরিন আলম, শিউলী আকতার, হাবিব খান প্রমুখ। পরিচালক নজরুল ইসলাম খানের কাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে নির্মিত এ সিনেমার সংলাপ লিখেছেন মুজতবা সউদ। চিত্রগ্রহণ করেছেন এম এইচ স্বপন।


মন্তব্য করুন