হলে ঢুকেই লম্বা লাইন দেখে কিছুটা অবাক হলাম। কোনো সিনেমা মুক্তির তৃতীয়-চতুর্থ দিনে এমন লম্বা লাইন দেখা যায়না। ব্যলকনি তে গিয়েই দেখি প্রায় সব সিটই দখল হয়ে গেছে। মহিলা দর্শকের সংখ্যা অন্য সিনেমার তুলনায় অনেক বেশি। এদিক ওদিক তাকিয়ে ফ্যানের নিচে একটি সিটে গিয়ে বসলাম। সিনেমা শুরু হতে হতে আরেকটা মেয়ে এসে বামপাশের সিটে বসল। Continue reading
লিখেছেনঃ Tselim Rezaa
অগ্নি: আশাজাগানিয়া সিনেমা
যেহেতু ভ্যালেন্টাইনস ডে, তাই শঙ্কা ছিল সিনেমা হলে অধিকাংশই জোড়ায় জোড়ায় থাকবে । তাই বন্ধুকে বোরকা পরিয়ে হলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। বন্ধুকে এই অফার টা দিতেই দিলো একটা থাবড়া। তাই তাকে বোরকা পরানোর প্ল্যান থেকে পিছু হটলাম। কিন্তু হলে ঢুকেই চোখ ছানাবড়া। সবাই দেখি জোড়ায় জোড়ায়! :-/ এতগুলো জোড়ার ভিতর আমরা দুই নাদান অসহায় :-/ এই অসহায়ত্ব নিয়েই দেখা শুরু করলাম ইফতেখার চৌধুরীর সিনেমা অগ্নি। পাশে বসে থাকা জোড়ার ছেলেটা বলে উঠলো, “উফ মাহি! আমার জান”। সে হয়তো ভুলে গিয়েছিল গার্লফ্রেন্ডের সাথে এসেছে। গার্লফ্রেন্ডের হাতে বাড়ি খাওয়ার পর চুপ হয়ে গেল। যাক গার্লফ্রেন্ড ছাড়া আসার একটা সুবিধা উপলব্ধি করলাম। অগ্নি সিনেমা টা মুক্তির আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। সেই সুবাদে হয়ত হল ছিল হাউজফুল। Continue reading
কি দারুন দেখতে: দর্শক তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারবেন
*****স্পয়লার অ্যালার্ট: ছবির কাহিনী সংক্ষেপ অংশে কাহিনী পুরোটা বর্ণনা করা হয়েছে ****
প্রথম শো শুরু হওয়ার বেশ কিছুক্ষন আগেই হলে চলে গিয়েছিলাম। শীতের দিনে প্রথম শো-তে তেমন একটা দর্শক হয়না। প্রায় ফাঁকা হলেই দেখতে ঢুকে গেলাম আব্দুল্লাহ জহির বাবুর চিত্রনাট্য এবং ওয়াজেদ আলী সুমনের পরিচালনায় বাপ্পী ও মাহী অভিনীত ছবি “কি দারুন দেখতে“।
কাহিনী সংক্ষেপ:
ঢাকায় এসেই দাদা মারা যায় ছোট ছেলে আপনের। ফলে তার আশ্রয় হয় পেশাদার এক বাটপারের ঘরে। বাটপার দম্পতি নি:সন্তান হওয়ায় আপন কে তাদের নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে। আপনও তাদের বাবা মা বলেই ডাকতে শুরু করে। পরবর্তীতে এই আপনই বড় হয়ে আমাদের নায়ক বাপ্পীতে পরিণত হয়। বাপ্পীর বাটপার বাবা বাপ্পীকে বাটপারি করে এক নামকরা কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়। Continue reading
তবুও ভালোবাসি: দেখার পর তৃপ্তি নিয়ে ফেরা যায়
***স্পয়লার অ্যালার্ট – ছবির কাহিনী সম্পর্কে ধারনা পেতে না হলে ‘যা ভালো লাগেনি’ অংশ থেকে পড়ুন***
গাজীপুরে বন্ধুর বাড়ি আসার পর প্রথম অভিজ্ঞতাটা মোটেও ভাল হয়নি সংগ্রামের। অতিথি কে চোর বলে পেটালে অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর হওয়ার কথা নয়। সব এই দস্যি মেয়ে সুনয়নার জন্য হয়েছে। সুনয়না তো নয় আসলে কুনয়না হবে। একের পর এক অঘটন ঘটিয়েই চলেছে। এমন দস্যি মেয়ে বাপের জনমেও দেখেনি সংগ্রাম। উফ চোর সাজিয়ে কি মার টাই না খাওয়ালো সবার কাছে। সিনেমা হলে গিয়েও মেয়েটা গ্যাঞ্জাম পাকালো। সিনেমা হলের দর্শকদের ভিতর মারামারি বাধিয়ে দিয়েছে। উল্টো সংগ্রাম কে হুমকি দিয়ে রেখেছে এই কথা বাড়িতে জানালে তারও ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবে। Continue reading
ক্ষমা চাওয়া উচিত শাকিব খান ও ঢাকা টু বোম্বে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের
একজন মুসলিম হিসেবে আল্লাহকে বস বলে সম্বোধন করা আমি মোটেও সমর্থন করতে পারলাম না । অন্যান্য ধর্মের ব্যপারে জানি না তবে আমার মনে হয়েছে বস বলে ডাকাটা অনেক বড় বেয়াদবীর সামিল । এজন্য শাকিব খান এবং ঢাকা টু বোম্বে চলচ্চিত্রের সংশ্লিষ্টদের ক্ষমা চাওয়া উচিত । উল্লেখ্য ঢাকা টু বোম্বে সিনেমায় শাকিব অসংখ্যবার আল্লাহকে বস বলে সম্বোধন করেছে । আমাদের সেন্সর বোর্ড ঘোড়ার ঘাস কাটারও উপযোগী নয় । এরা শুধু ভালো কিছুর উপরই কাচি চালায় । এসব বেয়াদবী তাদের নজরে আসে না । যেহেতু এটি সিনেমা তাই অসংখ্যবার বস শব্দটি উচ্চারিত হবে । তাই বলতে চাই শাকিব সহ সিনেমাটির সংশ্লিষ্ট সকলকে ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়ত বস বলার যৌক্তিকতা তুলে ধরা উচিত।
ঢাকা টু বোম্বে: জগাখিচুড়ীর অপর নাম
পোস্টারে বড় করে লেখা ডিজিটাল সিনেমা আর বড় করে আমাদের শাকিব খান। শাকিব খান আর ডিজিটালের কম্বিনেশন টা কেমন হবে তা দেখতে ঢুকে পড়লাম হলে। সিনেমার প্রথম কয় মিনিট হলের পর্দার দিকে তাকিয়ে বিশ্বাস করতে চাইছিলাম এটা ডিজিটাল সিনেমা। ঘোলা স্ক্রিন, পর্যাপ্ত পরিমাণ পোকামাকড় (আগেকার বাংলা সিনেমায় যেইসব বস্তুকে স্ক্রিনের উপর লাফাতে দেখা যেত) আর লাল নীল সবুজ মানুষ গুলো নিয়ে শুরু হল ডিজিটাল(!?) সিনেমা ঢাকা টু বোমে (থুরি বোম্বে)। Continue reading