কাহিনী সংক্ষেপ
চ্যানেল নাইন্টি নাইনেএকটি রিয়েলিটি শো’র আয়োজন করা হয়ছে। দেশের পরবর্তী নেতা খুঁজে বের করা হবে এই শো দিয়ে। এই নেতা নির্বাচিত হবেন দর্শকদের খুদে বার্তার মাধ্যমে। যিনি সর্বোচ্চ খুদে বার্তা পাঠাবেন নির্বাচিত নেতা তার বাড়িতে তিন দিন থাকবেন। এই আয়োজনের বিজয়ী দর্শক শিপনের বাড়িতে থাকতে যান নেতা। সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনা গল্পের মোড় পরিবর্তন করে দেয়।
অজোপাড়াগায়ে খেঁটে খাওয়া সাধারণ একটা ছেলের টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়ে উঠার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে দেশা দ্যা লিডার মুভিটি।
পুরোদেশে সাড়াজাগানো জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো “Who will be Our Next Leader” যার এংকার সৃষ্টি (মাহিয়া মাহী) আর মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল নাইনটি নাইন।
খুন, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগে রাজনীতির উত্তপ্ত মাঠে একজন যোগ্য নেতাকে খুঁজে বের করাই এই রিয়েলিটি শো এর উদ্দেশ্য ।
অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে সর্বশেষে দর্শকদের SMS এর মাধ্যমে বিপুল ব্যাবধানে যোগ্য নেতা হিসেবে বিজয়ী হন হাসান হায়দার (তারিক আনাম) যার উজ্জল সম্ভবনা তৈরি হয় দেশের পরবর্তী প্রাইমমিনিস্টার হবার।
এসএমএস করা দর্শকদের মধ্যে লটারীতে প্রাপ্ত ভাগ্যবান একজন দর্শকের বাসায় দুইদিন একরাত কাটানোর শর্ত দেয়া হয় বিজয়ী নেতাকে। সেই লটারীতে নাম আসে আয়নাপুর গ্রামের একটা সহজ সরল গ্রাম্যযুবক সেলিমের (শিপন)।
পরদিন নেতা এবং মিডিয়াকর্মীরা চলে যান সেই আয়নাপুর গ্রামে যে গ্রামের মানুষ কখনো এম্বুলেন্স দেখে নি, যে গ্রামে কোন হাসপাতাল নেই , স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার নেই । হাসান হায়দারের যোগ্য নেতৃত্বে দুইদিনেই গ্রামের সমস্ত অসংগতিগুলো সংশোধনের জন্য কাজ শুরু হয়।
সেই গ্রামে অবস্থানকালেই নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হাসান হায়দার । এতে নিহত হয় আয়নাপুর গ্রামের ৪২১ জন মানুষসহ একজন মিডিয়াকর্মী । কিন্তু নিজের জীবন বাজি রেখে নিজের পরিবারের বিনিময়ে দেশের পরবর্তী প্রাইমমিনিস্টারের জীবন রক্ষা করে সেই কুইজবিজয়ী সেলিম।
মিডিয়ার লাইভ টেলিকাস্ট এবং পাবলিসিটিতে একদিনেই দেশের হিরো হয়ে যায় সেলিম । সেলিমকে দেয়া হয় ‘দেশা’ উপাধী। রাজনীতির মূলগল্প শুরু হয় এখান থেকেই । অনেক ঘটনা এবং দূর্ঘটনা এবং রাজনীতির চালের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে দেশা দ্যা লিডারের কাহিনী ।
কিছু নেগেটিভ পজেটিভ অবজার্ভেশন-
১। সিনেমাটির কাহিনী কনসেপ্ট মূলত তেলেগু মুভি ‘কো দ্যা লিডার’ এবং ‘ক্যামেরাম্যান গঙ্গা রামবাবু’ থেকে নেওয়া হলেও বেশ কিছু নিজস্ব মৌলিক চিন্তাভাবনা এবং দেশের কৃষ্টি কালচার এবং রাজনীতিকে ব্যবহার করায় সিনেমাটিকে সরাসরি নকল বলার স্কোপ নেই।
২। মুভিটিতে দেখানো হয়েছে রাজনীতির ছলাকলা আর মিডিয়ার বিচিত্র ব্যবহারকে । এই মিডিয়াই তাদের TRP বাড়ানোর জন্য কত নিচে নামতে পারে আবার মিডিয়াই কাউকে ফোকাস করে কত উপরে তুলে দিতে পারে।
৩। খুবই গতিশীল চিত্রনাট্য । বানিজ্যিক মুভিতে গতিশীলতার কোন বিকল্প নেই । তবে গল্পের মাঝখানে গতিশীলতায় একটু টান পড়েছে বলে মনে হয়েছে।
৪। নায়ক শিপনের অভিনয় মাঝে মাঝে একটু আনাড়ী মনে হলেও প্রথম সিনেমা হিসেবে খুবই ভাল করেছে । সবচেয়ে আশার কথা শিপনের মধ্যে একটা ম্যানলি লুক আছে।
৫। তারিক আনাম যে জাত অভিনেতা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অসাধারণ অভিনয়।
৬। মাহিয়া মাহী পোশাক আশাক, চেহারা, অভিনয়ে সুন্দর, স্মার্ট কিন্তু মাঝে মাঝে ওভারস্মার্ট লাগে ।
৭। গান একটু কম । মাত্র চারটি । কিন্তু প্রতিটি গানই সুন্দর । এফডিসির পার্ককে ঠিকমত ডেকারেশন করলেও যে সুন্দর একটা ব্যাকগ্রাউন্ড করা যায় সেটা সৈকত নাসির এবং শফিক তুহিন খুব ভালভাবেই দেখিয়েছে ‘হাতছানি’ গানের মাধ্যমে ।
৮। যখন লটারীতে বিজয়ী হবার পর সেলিমকে ফোন দেয়া হয় তখন বিজয়ী নেতার নাম বলার আগেই সেলিম বলে, “আমার বাসায় হাসান হায়দার আসবে ?” সেলিমের বিজয়ী নেতার নাম জানার কথা না কারন সে তখন হাডুডু খেলছিল ।
৯। কাহিনীর মাঝখানে এক সিআইডি অফিসারকে দেখানো হয় । মনে হচ্ছিল পরবর্তীতে তার ভাল কোন ভূমিকা আছে হয়তো । কিন্তু পরে আর তাকে দেখানোই হয়নি । ওই সিআইডির অভিনয় বেশ ভাল লেগেছে।
১০। ক্যামেরার লগশট, এঙ্গেল, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সবকিছুই আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে । এই মুভির মাধ্যমে জাজ নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছে ।
আমার রেটিং- ৮/১০
জাতীয় নির্বাচনের আগে রিয়ালিটি শোর মাধ্যমে প্রতীকি নির্বাচনের আয়োজন করে চ্যানেল ৯৯। সেলিবৃটি এংকর মাহী উপস্থাপিত এই ‘হু উইল বি আওয়ার নেক্সট লিডার’ অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ এসএমএস ভোট পেয়ে জয়ী হয় তারিকুল আনাম। অনুষ্ঠানের নিয়মানুযায়ী লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত এক এসএমএসকারীর বাড়িতে দুইদিন একরাত থাকার কথা তার। ছবির নায়ক শিপন সেই ভাগ্যবান বিজয়ী। তার গ্রাম আয়নাপুরে গেল তারিক আনাম, সাথে একঝাঁক বডি গার্ড আর চ্যানেল ৯৯ এর কলাকুশলী। আয়নাপুর গ্রামে এক আনন্দ উৎসব চলাকালে তারিক আনামের ওপর হামলা চালায় আততায়ীরা। মারা যায় ২৩১ জন। তার ভেতর আছে চ্যানেল ৯৯ এর সাংবাদিক, তারিক আনামের বডিগার্ড, নায়ক শিপনের বাবা মাসহ আয়নাপুরের অসংখ্য সাধারণ মানুষ। কিন্তু নায়ক শিপনের বীরত্বে বেঁচে যায় তারিক আনাম। শিপন বনে যায় এক ন্যাশনাল হিরো। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে তারিক আনাম। তাকে দেয়া হয় দেশা উপাধি। এরপর তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে তারিক আনাম এবং বানিয়ে দেয় নিজের দলের প্রেসিডেন্ট।
এ পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে যা দেখা যায় তা কি সব সময় ঠিক হয়? ঘটনার আড়ালেও থাকতে পারে অন্য কোন ঘটনা। এক্ষেত্রেও কি তেমনই কিছু রয়েছে মূল ঘটনার আড়ালে? কি সেই আসল ঘটনা, যার অস্তিত্ব বিলীন করতে ঘটানো হবে একের পর এক রহস্যময় ঘটনা আর শেষমেষ তা প্রকাশ হয়ে গেলে পাল্টে যাবে গোটা ঘটনাপ্রবাহই? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে তিন ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর, একশন প্যাকড পলিটিকাল থৃলার ‘দেশা : দ্যা লিডার’ এ।
প্রথমেই বলা যাক পর্দার কলাকুশলীদের ব্যাপারে। শিপন নতুন নায়ক। নতুন হিসেবে যথেষ্ট ভাল তিনি। তার অভিনয় দেখে আর যাইহোক, ঢালিউডের অন্য কিছু হিরোর মত যাত্রাপালার অভিনয় বলে মনে হবে না কারো কাছে। বেশ ধীরস্থির কিন্তু টু দি পয়েন্ট লেগেছে তার অভিনয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের বড্ড অভাব মনে হয়েছে। বিশেষ করে নায়িকার সাথে কথা বলার সময় হাত দুইটা কখন কিভাবে নাড়াবেন নাকি আদৌ নাড়াবেন না, এ নিয়ে কনফিউজড লেগেছে তাকে। ক্ষেত্রবিশেষে তার ফিজিক্যাল ও ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন একেবারে যাচ্ছেতাই। এছাড়া কিছু কিছু দৃশ্যে তার ডায়লগ ডেলিভারী খুবই নিষ্প্রাণ লেগেছে। এমন রোবোটিক ইমপ্রেশনের পাশাপাশি হিরোসুলভ জোশও অনেকটাই মিসিং ছিল। তাছাড়া ছবির নায়ক হলেও গোটা ছবি ও ছবির গল্পে, বিশেষত প্রথমার্ধে তার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম মনে হয়েছে।
মাহীর অভিনয়ের উন্নতি লক্ষণীয়। দুই বছর আগে মাহী যেমন ছিলেন, সে তুলনায় তিনি এখন অনেক ম্যাচিউরড, অনেক প্রফেশনাল। একজন টিভি প্রেজেন্টারের চরিত্রটা পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। নায়িকাসুলভ ন্যাকামি প্রায় ছিল না বললেই চলে। তবে উচ্চারণগত কিছু সমস্যা তার আগেও ছিল যেগুলো এতদিনেও ত্যাগ করতে পারেন নি তিনি। বিশেষ করে অনুষ্ঠানকে অনুস্থান, বৃষ্টিকে বৃস্তি বলাটা শুনতে খুব একটা ভাল লাগে না। এছাড়া ছবির একদম শুরুর দিকে যে ভয়েস টোনে তিনি ‘হু উইল বি আওয়ার নেক্সট লিডার’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছিলেন, সেটা অনুষ্ঠানের সিরিয়াসনেসে একেবারেই জল ঢেলে দিয়েছে। তারপরও মানতেই হবে, এ ছবিতে মাহীকে যেমনি গ্ল্যামাসার লেগেছে, তার অভিনয়ও ঠিক তেমনি মুগ্ধ করেছে। দিনে দিনে তিনি যে পরিপূর্ণ অভিনেত্রী হয়ে উঠছেন, সে আভাস আরও একবার পেলাম এ ছবির মাধ্যমে।
তারিক আনাম খানকে নিয়ে জাস্ট কিছু বলার নেই। ইংরেজিতে যাকে বলে live the character, হাসান হায়দার চরিত্রটিকে নিয়ে তিনি ছিলেন একদম তা-ই। একটি অতি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রকে এতটা মুনশিয়ানার সাথে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন, হ্যাটস অফ টু হিম।
এছাড়াও ছোট ছোট চরিত্রে ছিলেন অনেকেই। তাদের মধ্যে বিশেষ করে নজর কেড়েছে শিমুল খানের অসাধারণ চাহনিগুলো। অন্যান্য অভিনেতারাও নিজ নিজ চরিত্রগুলো যথেষ্ট ভালোভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন। এ ছবির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, একজন অভিনেতার মধ্যেও অতি অভিনয় জিনিসটা চোখে পড়ে নি। সেজন্য অবশ্য অভিনেতাদের পাশাপাশি প্রশংসা পাবেন ছবির পরিচালকও।
এবার আসা যাক ছবির মিউজিকের ব্যাপারে। চারটি গান আছে। এর মধ্যে জেমসের কন্ঠে ‘দেশা আসছে’ তো সুপারহিট। গান শুরু হতেই দর্শকদের নাচানাচি আর হাততালিই তার সাক্ষ্য দেয়। অন্য গানগুলো অতটা ভাল না হলেও সবগুলোই বেশ মেলোডিয়াস ও শ্রুতিমধুর। শফিক তুহিনের সংগীত নিয়ে উচ্ছ্বসিত হবার কিছু নেই। তবে তা যে ভালো সেটা অনস্বীকার্য। গানগুলোর পিকচারাইজেশন অসাধারণ। বিদেশী লোকেশন না থাকুক, সুন্দর সেট এরেঞ্জমেন্ট কিংবা নিজেদের দেশের লোকেশনেই যে চোখের আরামদায়ক মিউজিক ভিডিও উপহার দেয়া যায়, এ ছবির গানগুলো তারই প্রমাণ।
ছবির চিত্রনাট্য ঠিকঠাক তবে সংলাপ গড়পড়তা। দর্শকের হাততালি বা সিটি পাওয়ার মত সেরকম ডায়লগ নেই বললেই চলে। ছবি দেখে বেরিয়ে আসার পর দর্শকের বিশেষ কোন সিন বা সংলাপের কথা মনে থাকবে না। আবদুল্লাহ জহির বাবুর কাছ থেকে আরও ভাল কাজ আশা করি। একই উপস্থাপকের মুখ থেকে বারবার ‘বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা’ কথাটা বলানো মোটেই ভাল সংলাপার কাজ নয়।
ছবির ক্যামেরাওয়ার্ক বেশ ভাল। দর্শকের চোখে অনেকদিন ভাসবে দুর্দান্তভাবে চিত্রায়িত আয়নাপুর গ্রামের সিনারিগুলো, রাতের আলোকিত হাতিরঝিল কিংবা আসছে দেশা গানের চিত্রগুলো।
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে বিশেষ কিছুই ছিল না। ছবির সিচুয়েশন নির্ভর আরও ভাল বিএম থাকলে ছবি দেখার অভিজ্ঞতা আরও সুখকর হত।
ছবির গল্প ও পরিচালনা নিয়ে ইতোমধ্যেই অনেক কিছু বলা হয়ে গেছে। নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। সৈকত নাসিরকে সাধুবাদ জানাই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাহসী একটা গল্প নিয়ে ছবি বানানোয়। কাহিনীর মৌলিকত্ব নিয়ে বিতর্ক আছে এবং তা চলবেই। অনেকেই অনেক বিদেশি ছবির ছায়া দেখতে পেয়েছেন। তবে সে ছায়া শুধু ছায়া হয়েই ছিল। হুবহু কপি পেস্ট বলতে যা বোঝায় তা করেন নি পরিচালক। তাই দিনশেষে দেশাকে সৈকত নাসিরের দেশাই বলা হবে। দেশার নামের আগে অন্য কোন ছবির রিমেকের ট্যাগ দেওয়া যাবে না।
ছবির শেষাংশ নিয়ে আপত্তি অনেকের মত আমারও। শেষ দৃশ্যে অতিরিক্ত আরও কিছু ছিল কিনা জানি না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, হুট করেই যেন শেষ হয়ে গেল ছবিটা। কে জানে, বাংলা ছবির ক্লাইম্যাক্স ফাইটিং ছাড়া শেষ হতে পারে তা জানা ছিল না সেইজন্যে নাকি আসলেই ছবির ক্লাইম্যাক্স নিয়ে কোন গোলমাল আছে।
যাইহোক, পরিচালক সৈকত নাসিরকে দারুণ প্রতিশ্রুতিশীল মনে হল ছবিটা দেখে। প্রথম ছবিতেই পারফেকশনিস্ট হতে না পারলেও, তার পরিচালনার নিজস্বতা, বৈচিত্র্য, আধুনিকতা ও মূল গল্পকে ঠিকঠাকভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার যে চেষ্টা ছিল, তার ছাপ ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্বত্র বিরাজমান। ছবির অসাধারণ কাস্টিং এর জন্যেও তাকে অভিবাদন। তবে ছবির কাহিনীতে দুই একজায়গায় কিছু মেজর অসংগতি দেখতে পেয়েছি, সেগুলো কিভাবে যে পরিচালকের চোখ এড়িয়ে গেল, কে জানে!
শেষে একটাই কথা বলব, দেশা ও সৈকত নাসিরের কাছ থেকে যে এক্সপেক্টেশন ছিল, পেয়েছি তার থেকে অনেক বেশি। সবচেয়ে আনন্দের কথা, বছরটা দেশার কল্যানে ‘গ্র্যান্ড’ভাবে শেষ করা গেল। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির কাছ থেকে আসছে বছরে আশাবাদ অনেক বেড়ে গেল। আশা করি দেশার মত উন্নতমানের ছবি নিয়মিতভাবেই পাওয়া যাবে এখন থেকে। অভিনেতা শিপন ও পরিচালক শিপনের যে পথচলা শুরু হল এ ছবির মাধ্যমে, আশা রাখি তা যেন দীর্ঘায়িত হয়।
রেটিং : ৩.৫/৫